নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হচ্ছেন সাতলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার (২৭)।
নিহত ইদ্রিস হাওলাদার পশ্চিম সাতলা গ্রামের সোহরাব হাওলাদারের ছেলে ও সাগর হাওলাদার একই বাড়ির শাহাদাত হাওলাদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উজিরপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৪ আগস্ট) রাত ১১টার সময় ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার এর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পশ্চিম সাতলা ২নং ওয়ার্ডে ফিরছিলেন। পথে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে পেট ও পায়ের রগ কেটে দেয়। মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রাত পৌনে ২টায় ব্যবসায়ী ইদ্রিস হালদার মারা যান। তার কয়েক ঘণ্টা পরে সাগরও মারা যান।
নিহতদের চাচা সাবেক ইউপি সদস্য মোনাফছের হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট গভীর রাতে ইদ্রিস হাওলাদারের মালিকানাধীন মাছের ঘের, মুরগির খামার, পানির সেচ পাম্পে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ইদ্রিস হাওলাদার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হালদার ও তার চাচাতো ভাই আসাদ হাওলাদারসহ ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় শাহীন চেয়ারম্যানকে জেল খাটতে হয়। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাফর আহমেদ জানান, নিহত ইদ্রিস হাওলাদার এর সাথে একটি মাছের ঘের নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ও মামলা প্রস্তুতি চলছে।
Design & Developed BY- zahidit.com
Leave a Reply